দিনাজপুর বার্তার প্রতিবেদনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত শনিবার (০৬-১০-২০১৮) ৫১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।
সেই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সামনে কিছু মজার বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে বৈষয়িক প্রাপ্তির দিকে না ছুটে সত্য ও ন্যায়ের পথে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন গড়ার আহ্বান জানান।
সেই বক্তব্বের ভিডিও প্রকাশিত হয় বাংলাদেশের ঢাকা থেকে। সেই বক্তব্যের সূত্র অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের কিছু অংশ আমরা তুলে ধরছি।
রাজনৈতিক নেতাদের সম্বন্ধে কিছু কথা তুলে ধরে বলেন রাজনীতি হল এখন একটা গরিবের ভাউজ অর্থাৎ ভাইয়ের বউ ভাবি।
এখানে যে কেউ যখন তখন যে কোন বয়সে ঢুকে যেতে পারছে কোনরকম বাধার ব্যাপার নেই অর্থাৎ একটি কলেজে ৬২ বছর ৬৭ বছর চাকরি করার পর তারা ঢুকে পড়ছে রাজনীতিতে। আবার বা অন্য কোনো চাকরি থেকে রিটায়ার করার পর এবার তারা রাজনীতিতে আসছেন। ব্যবসায়ীরা তো আছেনই তারপর শিল্পপতি ভগ্নিপতিরাও প্রবেশ করছেন রাজনীতিতে। আসলে রাজনীতিটা হয়ে গেছে এখন গরিবের ভাউজ। রাজনৈতিক নেতাদের এখন এটা দেখা দরকার। এগুলো থামানো দরকার। রাজনীতি যারা করবে স্কুলে না করুক কলেজে বা ইউনিভার্সিটি তে যারা রাজনীতি করে আসছে বা প্রথম থেকেই যারা রাজনীতি করে আসছে তারাই থাকুক। হ্যাঁ এক্সপার্ট দরকার আছে, তারা ইক্সপার্ট থাকুক, কিন্তু তারা ডাইরেক রাজনীতি মধ্যে ঢুকে যাবে এটা কেমন কেমন মনে হয়। যার জন্য আমাদের দেশের রাজনীতির গুণগত মানের পরিবর্তন হচ্ছে না।
মাননীয় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন তিনি যখন বাংলাদেশের স্পিকার ছিলেন সেই সময় সংসদে প্রধানমন্ত্রী নারী নির্যাতন বিল পাস করেন। তখন তিনি বলেছিলেন নারী নির্যাতন বিল পাস হলো ভালো হলো কিন্তু এর সাথে পুরুষ নির্যাতন বিল দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এই মুহূর্তে এটা দরকার নাই পরে দেখা হবে। কিন্তু ৬ থেকে ৭ বছর হয়ে গেল এখনো হয়নি। সারাবিশ্বের নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী পুরুষরা এটা টের পাচ্ছেন।
তারপরে তিনি ভারতের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া কে নিয়ে কথা বলেন যে কিছুদিন আগে প্রিয়াঙ্কা চোপরা ঢাকা এসেছিল রোহিঙ্গাদের ব্যাপার নিয়ে। বাংলাদেশ বাইরের যত গণ্যমান্য ব্যক্তি আসেন তাদের সবাই শেষ দেখা করতে আসেন গণভবনে। প্রিয়াঙ্কা যেদিন আসবে তার আগের দিন তিনি তার স্ত্রীকে বলেছিলেন এবার তো প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসবে।
তারপর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আর আসলো না গণভবনে। পরে জানতে পারলাম আমার স্ত্রী নাকি টেলিফোন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে বলেছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসার কি দরকার, তার আসার দরকার নাই।
তারপরে আমাদের এখান থেকে যাওয়ার পর কিছুদিন পর জানতে পারলাম প্রিয়াঙ্কা চোপরা নাকি আমেরিকা গিয়ে তার চেয়ে 12 থেকে 14 বছরের ছোট এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। এখন আমার কথা হলো সে যদি 10-12 বছরের নিচে নামতে পারে তাহলে 30 বছরের উপরে উঠতে সমস্যা কি এ ধরনের সুযোগ সে যদি এখানে পেয়ে যেত তাহলে তো তাকে সুদূর আমেরিকায় যেতে হতো না।
বাংলাদেশের যে কোন মানুষ জানেন রাষ্ট্রপতি যেখানে বক্তব্য রাখেন, মজার কিছু থাকবেই যা আনন্দ দেয় সবাইকে। এরকম রসাত্মক কাহিনী তিনি সেদিন বলেন।
শেষে আরও বলেন ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে, জীবনে যদি যদি পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় যাও না কেন প্রিয় মাতৃভূমিকে কখনো ভুলবেন না। ভুলবে না এদেশের খেটে খাওয়া মানুষদের কথা। তোমাদের আগামী দিনের চলার পথ মসৃণ হোক সাফল্যে ভরে উঠুক এই দোয়া করি।
তোমরাই জাতির ভবিষ্যৎ আগামীতে তোমরাই দেশ পরিচালনা করবে তোমাদের সঠিক নেতৃত্বে দেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ। জীবন চলার পথে তোমাদের আদর্শ থাকতে হবে, সেই আদর্শ ন্যায় ও সত্যের পক্ষে। তাই কখনো সত্যের সাথে মিথ্যার, আর ন্যায়ের সাথে অন্যায়ের আপস করবে না। সব সময় তোমরা বিবেককে জাগ্রত রাখবে। জীবনে চড়াই-উৎড়াই আসবে, কিন্তু সবসময় অর্জিত জ্ঞান মেধা মনন ও বিবেক দিয়ে সামনে অগ্রসর হবে, জয় তোমাদের নিশ্চিত।
No comments:
Post a Comment