গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত এক বিদেশী পর্যটক আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা আলিপুরদুয়ারঃ বীরপাড়া হিমালয় হোটেলের কাছে একটি গাড়ির সঙ্গে আঘাতে একজন বিদেশী পর্যটক শন মাইকেল হ্যান্ডসন মারা যান। উক্ত ব্যক্তি নিউজিল্যান্ড থেকে আসেন। তার সঙ্গে আরো তিনজন ছিলেন।
গত বুধবার বীরপাড়ার হিমালয় হোটেলের কাছে শন মাইকেলের মোটরসাইকেলকে একটি গাড়ি ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। এই ঘটনাটি হিমালয় হোটেল এর কাছে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে ঘটে। শন হ্যান্ডসন হেলমেট পড়ে থাকলেও তার মাথায় চোট লাগে এবং মারাত্মকভাবে জখম হয়।
তখন স্থানীয় লোকজনেরাই ওই তিন বন্ধু সহ তাকে বীরপাড়া হসপিটালে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু সেই বীরপাড়া হসপিটালে আই সি ইউ ছিল না, তাই উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় বীরপাড়া হাসপাতালের ডাক্তার তাকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে রেফার করে। তখন সে বেঁচে ছিল, কিন্তু পথিমধ্যে বীরপাড়ায় রেল ক্রসিংয়ে রেলগেট আটকানো থাকায় তারা আটকে যায়। মিনিট পনেরো পরে শনের অবস্থা বিগড়ে যেতে থাকে এবং কোন কথা বলতে পারেনা। এমত অবস্থায় তখন তারা কোন পথ না পেয়ে দিশাহারা হয়ে তাকে আবার বীরপাড়া হাসপাতালে বাধ্য হয়ে নিয়ে আসে এবং ডাক্তাররা তাকে দেখার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের সুপার বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন তার বুকের ভিতর কোন চোট ছিল, কিন্তু এখানে কোন সিটিস্ক্যানের ব্যবস্থা না থাকায় আমরা বুঝতে পারছিলাম না বা জানা সম্ভব ছিল না। শনের বন্ধুদের আক্ষেপ যদি এখানে আই, সি, ইউ. থাকতো তাহলে হয়তো আমাদের বন্ধু শন মারা যেত না, বেঁচে যেত। বীরপাড়া হাসপাতালে মৃতদেহ সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে তাকে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানতে পারা যায় তারা চারজনের মধ্যে দুইজন বিদেশি পর্যটক এবং গাজিয়াবাদের বাসিন্দা দুই বন্ধু পংকজ সিং ও বিবেক চৌধুরী গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি রওনা হন। ট্রেনেই দিল্লি থেকে চারটি মোটর সাইকেলও নিয়ে আসেন ওই চারজন।
২রা অক্টোবর নিউ জলপাইগুড়ি নেমে তারা মোটরসাইকেলে করে গ্যাংটক যান। গ্যাংটক থেকে ফেরার পরে তাদের অসমের কাজিরাঙ্গা যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু বীরপাড়ায় আসার পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলে হাসিমারা এর কাছে কোন এক হোটেলে তারা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানেই ওই একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এবং শন ওই দুর্ঘটনায় মারা যান। এখন পুলিশ হেফাজতে তদন্ত চলছে।
No comments:
Post a Comment