Today the death of one more student of Darivit High School in Islampur block.
আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের দাঁড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ের আর এক ছাত্রের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদ দাতা: আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের দাঁড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ের আর এক ছাত্রের মৃত্যু হল। আজও সকালে আরেকটি তরতাজা প্রাণ একটু সঙ্গে লড়াই করতে করতে শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের দাবী: বাংলা মাধ্যমের শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের দাবিকে কেন্দ্র করে তারা দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমবেত হলে, তাদেরকে স্কুল থেকে বের হয়ে যেতে বলতেই পুলিশ নির্বিচারে তাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে, কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোড়ে। গতকাল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ যেন হয়ে উঠেছিল এক রণক্ষেত্র। ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায্য দাবির প্রতিবাদে গতকাল তাদের মধ্যে থেকে এক প্রতিবাদী ছাত্র, রাজেশ সরকারের মৃত্যুবরণ করতে হয়। আরো একজন ছাত্র আজ সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মারা গেলেন। সেই ছাত্রটির নাম তাপস বর্মন, গতকাল দাঁড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ে গুলিবিদ্ধ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। জানা যায়, প্রশাসন দাবি করেছে তারা গুলি করেন নি।
সেই স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর ব্লকের দাঁড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয় উর্দু ভাষার কোন ছাত্রছাত্রীই নেই, কিন্তু উর্দু মাধ্যমের শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়, অথচ এই বিদ্যালয় বিশেষভাবে প্রয়োজন বাংলা মাধ্যমের শিক্ষক / শিক্ষিকার। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা উর্দু মাধ্যমের শিক্ষকদের তুলে নেওয়া জন্য এবং বাংলা মাধ্যমের শিক্ষক / শিক্ষিকা নিয়োগের দাবিতে এই আন্দোলন করছিল। স্থানীয় মানুষেরা বলেন, দেখতে দেখতেই কিছুক্ষনের মধ্যেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ যেন হয়ে উঠল এক রণক্ষেত্র।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ উত্তর দিনাজপুরে বিজেপির তরফ থেকে ১২ ঘন্টার ধর্মঘট চলছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল, এই সময় পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাদের উপরে চড়াও হয় এবং তাদের উপরে লাঠিচার্জ করে ও গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।
এই প্রতিবাদে এস এফ আই আগামীকাল (২২.৯.২০১৮) শনিবার সারা রাজ্য জুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
স্থানীয় এক শিক্ষাবিদ বলেন, বহু স্কুলে গত ছয় বছরে কোন নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট হয়নি। কোন কোন স্কুলে গত সাত বছরে অবসর গ্রহন করেছেন অনেক শিক্ষক / শিক্ষিকা। কোন কোন স্কুলের শিক্ষক পদের সংখ্যা কুড়ি পঁচিশ ছাড়িয়েছে। এবার এস.এস.সি. থেকে যে বা যকে পাঠালো দেখা যাচ্ছে সেই পোস্টে কোন ভ্যাকেন্সি নেই। ১০০ পয়েন্ট রোস্টারের সাথে কোন কোন ক্যাটাগড়ি মিলছে না। স্কুলগুলো কিভাবে এদের জয়েন্ট করাবে? এদিকে বৈধ ভ্যাকান্সি এসএসসির লিস্টে দেখা যাচ্ছে না। একটি দুটি নয় গোটা রাজ্য জুড়ে এই অনিয়ম ঘটেছে যখন বোঝাই যাচ্ছে, এটা ভুল নয়, অন্য কোন অসাধু উদ্দেশ্যেই এই ডেলিবারেট মিসটেক। শুধু ডি.আই. মহাশয়কে সাসপেন্ড করে এই সমস্যার সমাধান কি সম্ভব?, আর এই দুটি ছাত্রর অকাতরে বলিদান দিতে হল।
No comments:
Post a Comment