নিঊ দিল্লী :গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লিতে প্রবেশের মুখে সত্তর হাজার কৃষকের উপর চলল পুলিশের টিয়ার গ্যাস, লাঠি।
কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম, ঋণ মকুব, ফসলের ক্ষতিপূরণ ও ডিজেলের দাম হ্রাসের দাবীতে ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়ন (বি কে ইউ) এর কিষাণ ক্রান্তি যাত্রা হরিদ্বার থেকে শুরু করে মুজফফরনগর, দৌরালা, পাটরাপুর, মোদী নগর, হিন্দোন ঘাট হয়ে দিল্লি পৌঁছয়। মঙ্গলবার বিকেলে প্রায় সত্তর হাজার কৃষকের মিছিল পনের দফা (১৫) দাবি নিয়ে ট্রাক্টর ও ট্রলি চালিয়ে ইউপি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে দিল্লির নিকট এসে পৌঁছালে পুলিশ তাদের কঠোর ভাবে বাধা দেয়। প্রতিবাদকারী কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ নির্মমভাবে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। মূলত আন্দোলনকারী পদযাত্রী কৃষকদের দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তেই আটকে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন ঘোষণা করে তাঁরা হরিদ্বার থেকে পদযাত্রা করে দিল্লি পৌঁছবে মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসের দিন। সেইমতো কৃষকদের মিছিল দিল্লি ঢুকতে গেলে তাদের অন্যায্যভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। কৃষিঋন মকুব, শস্যের দামবৃদ্ধি, ফার্মের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুত, ডিজেলের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধির বিরোধিতা সহ একাধিক দাবি নিয়ে কৃষকরা মিছিল করে রাজধানী এসে প্রতিবাদ জানানোর ঘোষণা করেছিল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজকের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ও প্রতিবাদও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কৃষকদের অবশ্যই রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া উচিত ছিল। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তাঁর সরকার কৃষকদের এই আন্দোলনের পাশে রয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। যানা যায়, কৃষকদের মিছিলের অশান্তি আঁচ করে আগে থেকেই উত্তর দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। এই মাসের আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবত থাকবে। গাজিপুর, ময়ূর বিহার, কল্যাণপুরী, প্রীত বিহার, জগতপুরী ও পাণ্ডব নগর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে।
কৃষকদের এই বিক্ষোভকে উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টিও সমর্থন জানিয়েছে। অখিলেশ যাদবের মতে, বিজেপি সরকার কৃষকদের দাবি পূরণ করেনি। ফলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন, কৃষকদের ন্যায্য দাবির আন্দোলন হবে সেটাই স্বাভাবিক। পশ্চিমবঙ্গের গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন সুধী ব্যক্তিগন আজ কৃষকদের উপর এই নির্মম অত্যাচারের প্রতিবাদ করে এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তা উগড়ে দেয়। আজ এইরকম এক গণতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব আমাদের প্রতিবেদক কে বলেন, কি ছিল দাবি এই কৃষকদের? ফসলের ন্যায্য দাম, ডিজেলের অত্যধিক দাম কমানো, এই সামান্য দাবি। বিনিময়ে অন্নদাতাদের উপর নির্মম অত্যাচার। এর মূল্য চোকাতে হবে। সুদে আসলে মেটাতে হবে।
No comments:
Post a Comment