DBlive Raiganj: রাধিকাপুর কলকাতা লিংক ট্রেন আবারো আপাতত ঠান্ডা ঘরে সাংসদ বিরোধিতায়। বহুদিন ধরে উত্তর দিনাজপুরবাসী দিনের বেলা বিশেষ করে সকালবেলায় রাধিকাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত একটি ট্রেনের আবেদন করে। রাধিকাপুর- কলকাতা সকাল বেলা একটি ট্রেনের জন্য উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারন জনগণ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা আন্দোলন করেছেন ও অবরোধ করেন। রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সি, বর্তমান সাংসদ মোহাম্মদ সেলিম, উত্তর দিনাজপুর জেলার চেম্বার অব কমার্স ও আরও বিভিন্ন সংগঠন এবং বিভিন্ন সময়ে রেলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে দরবারও করে। সেইমতো উত্তর দিনাজপুরবাসীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারতীয় রেল আপাতত তেভাগা এক্সপ্রেস-এর সঙ্গে জুড়ে দিয়ে সকালবেলা একটি লিংক ট্রেনের মঞ্জুর করেন।
রায়গঞ্জ রেল কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা যায় রেল পরিষেবা উন্নয়নের নানা বিষয় নিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল এর অধীন অসম, উত্তরবঙ্গ সহ, বিহারের বিভিন্ন জেলার সাংসদদের নিয়ে গত বুধবার রেল কর্তৃপক্ষ কাঠিহারে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৮ জন সাংসদ।
প্রসঙ্গত, রেল কর্তৃপক্ষ গত ফেব্রুয়ারিতে সাংসদ সেলিমকে রাধিকাপুর থেকে সকালে কয়েকটি কামরা লিংক হিসেবে মালদহের একলাখি স্টেশন বালুঘাটে থেকে আসা তেভাগার সঙ্গে জুড়ে কলকাতা পর্যন্ত চালানোর আশ্বাস দিয়েছিল।
সেই ভিত্তিতে গত বুধবারে বৈঠকে রাধিকাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত চালানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। সেই বৈঠকে উত্তর দিনাজপুরের বর্তমান সাংসদ মোহাম্মদ সেলিম উপস্থিত ছিলেন না। প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তার ব্যক্তিগত সচিব মোঃ আনোয়ারুল হক।
আনোয়ারুল হকের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষ সকালে রাধিকাপুর থেকে কলকাতা মুখী হিসেবে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু বালুঘাটের তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ রাধিকাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত তেভাগা এক্সপ্রেসের সঙ্গে লিংক হিসাবে চালানোর বিরোধিতা করেন এবং সেই বিরোধিতায় রেল কর্তৃপক্ষ আপাতত সকালে রাধিকাপুর থেকে কলকাতামুখী ওই ট্রেনটিকে লিংক হিসেবে চালানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেন।
এই নিয়ে উত্তর দিনাজপুর সিপি আই (এম) জেলা কমিটি বৃহস্পতিবার সকালে রায়গঞ্জের দলীয় কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন এবং বলেন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাধিকাপুর থেকে লিংক হিসাবে কলকাতা পর্যন্ত চালানো না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ করবেন।
আমাদের প্রতিবেদকে রায়গঞ্জের এক বয়স্ক ব্যক্তিত্ব (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, ভারতবর্ষের অন্যতম জনদরদী রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রায়গঞ্জের সাংসদ প্রিয় দাসমুন্সী মহাশয় যখন রায়গঞ্জে এইমস করার জন্য সমস্ত কাগজপত্র ঠিক করেন এবং সংসদে পাস করান এবং তিনি জায়গাও ঠিক করেন রায়গঞ্জের নিকট পানিশালায়। তখন কিছু রাজনৈতিক দল এটাকে ভাঁওতাবাজি বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রাখেন তখনকার দিকপাল রাজনীতিবিদরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই সময় রাজ্য সরকার জায়গা দেননি বা কোন রকম সহযোগিতার হাত বাড়ান নি। পরবর্তীতে রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ শ্রীমতি দীপা দাশমুন্সি বহুবার বর্তমান রাজ্যের শাসকের কাছে জায়গা একোয়ার করার আবেদন জানান এবং এটা সত্যি বলে প্রমাণিত হয় যে রায়গঞ্জে এইমস প্রিয় দাশমুন্সির ভাওতাবাজি নয়, সঠিক ছিল।
ঠিক একইভাবে, কিন্তু বর্তমান শাসক দল এইমস কে এই রায়গঞ্জের পানিশালায় আর হতে দিল না এই এইমস কলকাতার কল্যাণীতে নিয়ে চলে গেল। আর তেমনি বালুঘাটের তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ রাধিকাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত তেভাগা এক্সপ্রেসের সঙ্গে লিংক হিসাবে চালানোর বিরোধিতা করলেন, কারন তিনি তো আর রায়গঞ্জ থেকে কলকাতায় যাবেন না। যা ভাল কাজ হবে সব কলকাতায় হবে বাকিরা সব চুষবে।
No comments:
Post a Comment