দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি থানার দাসূল চন্ডীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মিশন নির্মল বিদ্যালয় উদযাপন অনুষ্ঠান করলেন
নিজস্ব প্রতিবেদন বুনিয়াদপুরঃ- দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি থানার উত্তর চক্রের দাসূল চন্ডীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় গত বৃহস্পতিবার মিশন নির্মল বিদ্যালয় উদযাপন অনুষ্ঠান করলেন। দাসূল চন্ডীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী মঙ্গল কুমার মূর্মু এবং শিক্ষক শ্রী শুভঙ্কর প্রামাণিক ও রুপম তরফদার মহাশয় গতকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ‘মিশন নির্মল বিদ্যালয় উদযাপন’ বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে একটি সমাজ সচেতনমূলক অনুষ্ঠান করে দেখালেন। স্বদিচ্ছা থাকলে শিক্ষার অঙ্গ হিসাবে শুধু ছাত্র/ছাত্রীদের পড়ানোই নয়, পাশাপাশি সমাজ সংস্কারমূলক অনেক কাজও করা যায়। যদিও এই ধরনের উদ্যোগকে অনেকেই আমল না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
প্রথমে শিক্ষক মহাশয়গন তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত শিশু ছাত্র/ছাত্রীদের একটি করে সাবান দেয় এবং তারা যেন প্রত্যেকে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে যে কোন খাবার খায় এবিষয়ে তাদেরকে সচেতন করেন। ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী শুভঙ্কর প্রামাণিক বলছিলেন তাদের একটায় লক্ষ্য যাতে শিশুরা শুধুমাত্র বিদ্যালয়ে নয়, বাড়িতেও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যেসটা বজায় রাখে।
তারপরে শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এলাকায় একটি মিছিল করেন এবং গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ খাওয়ার আগে ও পরে হাত দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি নিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করার উদ্দ্যেশ্যে, সেখানে স্কুলের ছোট বাচ্চাদের নিয়ে শিক্ষক মহাশয়গন একটি পথ নাটিকাও করেন এবং সরকারী প্রকল্প নির্মল বাংলার উপর ভিত্তি করে শিক্ষক মহাশয়গন তাদের স্বরচিত কবিতা পাথ করেন।
স্থানীয় জনগণ এবং ওই গ্রামের বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। চন্ডীপুর গ্রামের এক বাসিন্দা আমাদের প্রতিবেদককে বলছিলেন সত্যিই খুব প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আশা করছি এই উদ্যোগটি খুব শীঘ্রই অন্যান্যদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠবে। আপনাদের সবাইকে জানাই অনেক অভিনন্দন।
মিশন নির্মল বিদ্যালয় উদযাপন জেলা আধিকারিক দের থেকে জানা যায়, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক প্রতিটি স্কুলে নানা কর্মসূচি হবে। ইতিমধ্যে পদযাত্রা, সচেতনতা শিবির, সাফাই অভিযান শুরুও হয়েছে। জেলার প্রতিটি স্কুলে হবে বসে আঁকো প্রতিযোগিতাও। মিশন নির্মল বিদ্যালয় উদযাপন প্রকল্পের জেলা আধিকারিক বলেন, এর ফলে ছাত্রছাত্রীরাই উপকৃত হবে। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সচেতনতা গড়ে উঠবে।
No comments:
Post a Comment