ভারতীয় জীবনবিমা নিগমের পক্ষ থেকে স্বপ্না বর্মনকে সন্মাননা স্মারক প্রদান - Dinajpur Barta

Latest

Dinajpur Barta, politics, science, travel, health, food, entertainment, sports, bangla news, lifestyle, career national and international news in bengali

Sunday, September 16, 2018

ভারতীয় জীবনবিমা নিগমের পক্ষ থেকে স্বপ্না বর্মনকে সন্মাননা স্মারক প্রদান

Today, the Life Insurance Corporation of India, Jalpaiguri Division honored through an event to Swapna Barman, who received gold medal in Asian Games.

L I C of India Jalpaiguri Division honored to Swapna Barman

নিজস্ব সংবাদদাতা: জলপাইগুড়ি বিভাগের ভারতীয় জীবনবিমা নিগমের পক্ষ থেকে এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে প্রথম ভারতীয় হিসেবে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত স্বপ্না বর্মনকে সন্মানিত ও সন্মাননা স্মারক প্রদান করলেন আজ।

আজ ভারতীয় জীবনবিমা নিগম, জলপাইগুড়ি বিভাগের পক্ষ থেকে এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত স্বপ্না বর্মনকে সন্মানিত ও সন্মাননা স্মারক প্রদান করলেন এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। স্বপ্না বর্মনের অনুপস্থিতিতে সন্মাননা স্মারক গ্রহন করলেন রত্নগর্ভা মা।

প্রসঙ্গত,  তাঁর নিজের ইভেন্টে ৬০২৬ পয়েন্ট তুলে এশিয়ান গেমসের হেপ্টাথলনে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইতিহাস গড়ে সোনা জেতেন স্বপ্না বর্মন।
সোনার মেয়ের সমস্যা ছিল প্রচুর। বাধা ছিল শারীরিক ও আর্থিক। তাঁর বাবা রিকশাচালক পঞ্চানন বর্মন বেশ কয়েকবছর ধরেই অসুস্থতার জন্য শয্যাশায়ী। তবু, কোনও প্রতিবন্ধকতাই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি তাঁর কাছে।

2012 সাল থেকে সল্টলেকের সাইয়ের ট্রেনিং সেন্টার কমপ্লেক্সেই থাকেন জলপাইগুড়ির মেয়ে স্বপ্না। এখনও শহরে কোনও পাকাপাকি আস্তানা নেই তাঁর। স্বপ্নার পরবর্তী লক্ষ্য হল হেপ্টাথলনে তাঁর মোট স্কোরকে 6300-তে নিয়ে যাওয়া। স্বপ্নার পায়ে অপারেশন হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তাঁর কেরিয়ারে এত বড় উত্থানের পিছনে তাঁর কোচ সুভাষ সরকারের বড় অবদান আছে।

স্বপ্না স্থানীয় পাতকাটা ঘোষপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর পাশেই কালিয়াগঞ্জ উত্তমেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৪ সালে পাস করেন। স্বপ্না আগে রেলে চাকরি পেয়েও খেলার জন্য তা ছেড়েও দেন। বর্তমানে ওএনজিসিতে অস্থায়ী হিসেবেই কাজ করেন।

কলকাতায় সাই ক্যাম্পে কোচ সুভাষ সরকারের অধীনে কোচিং নিলেও কমার্স নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ছেন। স্বপ্নার কালিয়াগঞ্জ উত্তমেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের গেমস শিক্ষক বিশ্বজিৎ মজুমদার গর্বের সঙ্গে বলতে থাকেন,  "আমি ২০০৫ সালে স্কুলে যুক্ত হই। স্বপ্না পরের বছর ভর্তি হয়। প্রতিদিন বিকেলে ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ করিয়েছি স্বপ্নাকে। ২০০৮ সালে কলকাতায় সাই ক্যাম্পে নির্বাচনের জন্য ট্রেনের জেনারেল বগিতে করে স্বপ্নাকে নিয়ে গেছি। স্বপ্না আরও বড় সাফল্য পাক।"

২০১২ সালে জুনিয়র ন্যাশনাল গেমসে হাইজাম্পে স্বপ্না সোনা জেতে, পরের বছর স্কুল অ্যাথলেটিক্সে ট্র‍্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে হাইজাম্প, বর্শা নিক্ষেপ, হ্যামার নিক্ষেপেও সোনা পায়। ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়াতে এশিয়ান গেমসে  চতুর্থ স্থান পান স্বপ্না। কিন্তু, ২০১৫ সালে চোটের কারণে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নামতে পারেননি তিনি।

জলপাইগুড়ি বিভাগের ভারতীয় জীবনবিমা নিগমের পক্ষ থেকে স্বপ্না বর্মনের অনুপস্থিতিতে সন্মাননা স্মারক তার মাকে প্রদান করার কিছু ছবি নিচে দেওয়া হল।

41841643_248337502533044_7968433191973289984_n42099744_684622851936679_8658831639863885824_n

No comments:

Post a Comment