জমি জবর দখলের দায়ে অভিযুক্ত রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় - ভূমি দপ্তর জমির মালিককে কাগজ প্রদান।
নিজস্ব সংবাদদাতা: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি জবর দখলের মামলা ওঠে এবং জাল করা হয় অত্র জেলার রায়গঞ্জ শহর নিবাসী শ্রী নারায়ন চন্দ্র দাস মহাশয়ের নিজস্ব মালিকানায় থাকা জমি এবং এ বিষয়ে জমির মালিক রায়গঞ্জের রূপকার ও বিধায়ক শ্রী মোহিত সেনগুপ্ত মহাশয়ের নিকট গিয়ে তার নজরে আনেন।
তারপরে রায়গঞ্জের রূপকার ও মাননীয় বিধায়ক শ্রী মোহিত সেনগুপ্ত মহাশয়ের নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেসের আন্দোলন ও পথসভা গত ৩রা জুলাই এই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে করেন। এবং ওই দিনই জাতীয় কংগ্রেস ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান এবং আধিকারিকের নিকট সঠিক তদন্তের দাবি করেন। তারপরে জেলাশাসকের দপ্তরে এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দেন।
এই ঘটনার পরেই রায়গঞ্জ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক শ্রী প্রদীপ কুমার গিরি মহাশয় নড়েচড়ে বসেন এবং দ্রুততার সঙ্গে নারায়ণ চন্দ্র দাস ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় উভয়পক্ষকে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে গত ১১ ই জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেন এবং তার অফিসে হাজির হওয়ার আবেদন জানান। সেই মোতাবেক সেদিন নারায়ন চন্দ্র দাসের পক্ষ থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি হাজির হয়ে জমির মালিকানার সমস্ত কাগজপত্র আধিকারিকের নিকট জমা দেন, কিন্তু রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রেজিস্টার হাজির হলেও সেদিন উক্ত জমি সংক্রান্ত মালিকানার কোন বৈধ কাগজপত্র জমা দেন নি, তারা সময় চেয়ে নেন।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন গত বুধবার ১৭ জুলাই এবং তিনি আবার উভয় পক্ষকেই তার কর্ণজোড়ার অফিসে হাজির হয়ে উক্ত জমির সমস্ত কাগজপত্র জমা দিতে বলেন।
সেইমতো গত বুধবার নারায়ণ চন্দ্র দাস সমস্ত কাগজপত্র আধিকারিকের কাছে জমা দেন কিন্তু রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এদিনের চূড়ান্ত শুনানিতে কোনো প্রতিনিধি হাজির হয়ে জমির মালিকানার বৈধ নথি পেশ করেননি। অতঃপর সরকারি প্রক্রিয়ায় উক্ত জমির সমস্ত নথিপত্র তদন্ত করে, নারায়ন চন্দ্র দাস মহাশয় উক্ত জমির মালিকানার প্রকৃত হকদার এবং সত্য বলিয়া তাহার হাতে ৭৫ শতক জমির মালিকানার নথি তুলে দেন। এবং আধিকারিক শ্রী প্রদীপ বাবু বলেন ওই জমিটি কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে নথিভূক্ত হয়েছিল তা জানতে দপ্তরে দপ্তরে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে দপ্তরের কেউ যুক্ত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় জোর করে জমিটি তাদের বলে দাবি করে জমির বিভিন্ন অংশে মাটি ফেলে সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা করার চেষ্টা করেন তখন ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে নারায়ন চন্দ্র দাস মহাশয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সিভিল কোর্টে মামলা দায়ের করেন, তারপরে জেলা দায়রা আদালত মামলা চলাকালীন ওই জমিতে দু'পক্ষকে কোনরকম নির্মাণ না করার নিষেধাজ্ঞা জারি করেন কিন্তু দেখা যায় পরবর্তীতে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জমির চারিদিকে সীমানা বরাবর ঘিরে দেন।
অবশেষে জমির মালিক কোন পথ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বিধায়কের কাছে এসে পৌঁছান এবং জমি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র দেখান।
বিধায়ক মহাশয় বলেন যদি আপনাদের এই কাগজপত্র যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কিছুতেই দখল করতে পারবে না এবং কোন নির্মাণ করতে পারবে না বলে তিনি তাদেরকে আশ্বস্ত করেন এবং ভূমি সংস্কার দপ্তর আধিকারিকের কাছে তদন্ত করার নির্দেশ দেন যদি এর সঠিক তদন্ত না হয় তাহলে পরবর্তীতে বিশাল আকারে বিক্ষোভ আন্দোলন করা হবে।
আমাদের প্রতিনিধি রায়গঞ্জের বিধায়ক শ্রী সেনগুপ্ত মহাশয়ের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন একমাত্র জাতীয় কংগ্রেসের বাধা দানের ফলে তাদের এই অসাধু চক্রান্ত বিফলে গেল, জবরদখল করতে পারলো না। হাতেনাতে সরকারি দপ্তরে তা প্রমাণ হয়ে গেল। এই ধরনের অসাধু চক্রান্ত সমূলে বিনাশ করার জন্য আমাদের সমস্ত জাতীয় কংগ্রেস, কর্মী ও সমর্থকরা সর্বদাই সজাগ ছিল, আছে এবং আগামীদনেও থাকবে। অসহায়, নিপীড়িত, অত্যাচারিত ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে আমরা সবসময় থাকি এবং আগামী দিনেও আমরা থাকবো এটাই জাতীয় কংগ্রেসের রীতি এবং নীতি।
তিনি আরো বলেন এটা লজ্জাজনক ঘটনা, শিক্ষার নামে এরা কলঙ্ক। যারা সমাজ গড়ার কাজ করেন তারাই আজ দুর্নীতিপরায়ন।
এরা এই ভাবে অনেক সাধারণ মানুষের জমি এবং টাকা নয়ছয় করে আত্মসাৎ করেছেন তা বাস্তবে পরিণত হল।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসৎ উদ্দেশ্যে ভূমি দপ্তরের উপরে চাপ সৃষ্টি করে নারায়ন বাবুর জমি দখল করেছিলেন এটা সত্য প্রমাণিত হয়ে গেল। আমাদের কংগ্রেসের আন্দোলন সঠিক ছিল এবং সত্যের জয় হল।
নিজস্ব সংবাদদাতা: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি জবর দখলের মামলা ওঠে এবং জাল করা হয় অত্র জেলার রায়গঞ্জ শহর নিবাসী শ্রী নারায়ন চন্দ্র দাস মহাশয়ের নিজস্ব মালিকানায় থাকা জমি এবং এ বিষয়ে জমির মালিক রায়গঞ্জের রূপকার ও বিধায়ক শ্রী মোহিত সেনগুপ্ত মহাশয়ের নিকট গিয়ে তার নজরে আনেন।
তারপরে রায়গঞ্জের রূপকার ও মাননীয় বিধায়ক শ্রী মোহিত সেনগুপ্ত মহাশয়ের নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেসের আন্দোলন ও পথসভা গত ৩রা জুলাই এই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে করেন। এবং ওই দিনই জাতীয় কংগ্রেস ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান এবং আধিকারিকের নিকট সঠিক তদন্তের দাবি করেন। তারপরে জেলাশাসকের দপ্তরে এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দেন।
এই ঘটনার পরেই রায়গঞ্জ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক শ্রী প্রদীপ কুমার গিরি মহাশয় নড়েচড়ে বসেন এবং দ্রুততার সঙ্গে নারায়ণ চন্দ্র দাস ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় উভয়পক্ষকে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে গত ১১ ই জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেন এবং তার অফিসে হাজির হওয়ার আবেদন জানান। সেই মোতাবেক সেদিন নারায়ন চন্দ্র দাসের পক্ষ থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি হাজির হয়ে জমির মালিকানার সমস্ত কাগজপত্র আধিকারিকের নিকট জমা দেন, কিন্তু রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রেজিস্টার হাজির হলেও সেদিন উক্ত জমি সংক্রান্ত মালিকানার কোন বৈধ কাগজপত্র জমা দেন নি, তারা সময় চেয়ে নেন।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন গত বুধবার ১৭ জুলাই এবং তিনি আবার উভয় পক্ষকেই তার কর্ণজোড়ার অফিসে হাজির হয়ে উক্ত জমির সমস্ত কাগজপত্র জমা দিতে বলেন।
সেইমতো গত বুধবার নারায়ণ চন্দ্র দাস সমস্ত কাগজপত্র আধিকারিকের কাছে জমা দেন কিন্তু রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এদিনের চূড়ান্ত শুনানিতে কোনো প্রতিনিধি হাজির হয়ে জমির মালিকানার বৈধ নথি পেশ করেননি। অতঃপর সরকারি প্রক্রিয়ায় উক্ত জমির সমস্ত নথিপত্র তদন্ত করে, নারায়ন চন্দ্র দাস মহাশয় উক্ত জমির মালিকানার প্রকৃত হকদার এবং সত্য বলিয়া তাহার হাতে ৭৫ শতক জমির মালিকানার নথি তুলে দেন। এবং আধিকারিক শ্রী প্রদীপ বাবু বলেন ওই জমিটি কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে নথিভূক্ত হয়েছিল তা জানতে দপ্তরে দপ্তরে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে দপ্তরের কেউ যুক্ত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় জোর করে জমিটি তাদের বলে দাবি করে জমির বিভিন্ন অংশে মাটি ফেলে সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা করার চেষ্টা করেন তখন ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে নারায়ন চন্দ্র দাস মহাশয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সিভিল কোর্টে মামলা দায়ের করেন, তারপরে জেলা দায়রা আদালত মামলা চলাকালীন ওই জমিতে দু'পক্ষকে কোনরকম নির্মাণ না করার নিষেধাজ্ঞা জারি করেন কিন্তু দেখা যায় পরবর্তীতে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জমির চারিদিকে সীমানা বরাবর ঘিরে দেন।
অবশেষে জমির মালিক কোন পথ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বিধায়কের কাছে এসে পৌঁছান এবং জমি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র দেখান।
বিধায়ক মহাশয় বলেন যদি আপনাদের এই কাগজপত্র যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কিছুতেই দখল করতে পারবে না এবং কোন নির্মাণ করতে পারবে না বলে তিনি তাদেরকে আশ্বস্ত করেন এবং ভূমি সংস্কার দপ্তর আধিকারিকের কাছে তদন্ত করার নির্দেশ দেন যদি এর সঠিক তদন্ত না হয় তাহলে পরবর্তীতে বিশাল আকারে বিক্ষোভ আন্দোলন করা হবে।
আমাদের প্রতিনিধি রায়গঞ্জের বিধায়ক শ্রী সেনগুপ্ত মহাশয়ের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন একমাত্র জাতীয় কংগ্রেসের বাধা দানের ফলে তাদের এই অসাধু চক্রান্ত বিফলে গেল, জবরদখল করতে পারলো না। হাতেনাতে সরকারি দপ্তরে তা প্রমাণ হয়ে গেল। এই ধরনের অসাধু চক্রান্ত সমূলে বিনাশ করার জন্য আমাদের সমস্ত জাতীয় কংগ্রেস, কর্মী ও সমর্থকরা সর্বদাই সজাগ ছিল, আছে এবং আগামীদনেও থাকবে। অসহায়, নিপীড়িত, অত্যাচারিত ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে আমরা সবসময় থাকি এবং আগামী দিনেও আমরা থাকবো এটাই জাতীয় কংগ্রেসের রীতি এবং নীতি।
তিনি আরো বলেন এটা লজ্জাজনক ঘটনা, শিক্ষার নামে এরা কলঙ্ক। যারা সমাজ গড়ার কাজ করেন তারাই আজ দুর্নীতিপরায়ন।
এরা এই ভাবে অনেক সাধারণ মানুষের জমি এবং টাকা নয়ছয় করে আত্মসাৎ করেছেন তা বাস্তবে পরিণত হল।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসৎ উদ্দেশ্যে ভূমি দপ্তরের উপরে চাপ সৃষ্টি করে নারায়ন বাবুর জমি দখল করেছিলেন এটা সত্য প্রমাণিত হয়ে গেল। আমাদের কংগ্রেসের আন্দোলন সঠিক ছিল এবং সত্যের জয় হল।
No comments:
Post a Comment